Best Homeo Doctor

নিদ্রায় নাক ডাকা কি,কারন,লক্ষন,প্রতিকার

নিদ্রায় নাক ডাকা (Snoring) একটি সাধারণ সমস্যা, যা অনেক মানুষের মধ্যে ঘটে। এটি মূলত শ্বাসপ্রশ্বাসের পথের অশান্তি বা বাধার কারণে ঘটে, যখন ঘুমের সময় শ্বাস নিতে গিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাসের পথে শব্দ তৈরি হয়। এর কিছু প্রধান কারণ, লক্ষণ এবং প্রতিকার নিচে আলোচনা করা হলো।

নাক ডাকার কারণ:

  1. অতিরিক্ত ওজন: অতিরিক্ত মেদ শ্বাসযন্ত্রের চারপাশে জমে গিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাসের পথকে সংকুচিত করে, যা নাক ডাকার কারণ হতে পারে।
  2. নাসিকাপথ বন্ধ: ঠান্ডা, এলার্জি বা নাসিকায় সর্দি-কাশির কারণে নাসিকাপথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে, ফলে শ্বাস নিতে সমস্যা হয় এবং নাক ডাকতে হয়।
  3. অ্যালকোহল বা সিগারেট: অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন বা ধূমপান শ্বাসপ্রশ্বাসের পথকে প্রশস্ত করে, যা নাক ডাকার আশঙ্কা বাড়ায়।
  4. ঘুমের পদ্ধতি: পিঠে শুয়ে ঘুমালে মুখ ও গলা নিচের দিকে চলে গিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাসের পথে বাধা সৃষ্টি হয়।
  5. বয়স: বয়স বাড়ার সাথে সাথে গলার মাংসপেশী শিথিল হয়ে যায়, ফলে নাক ডাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
  6. গলা বা নাকের গঠন: কিছু মানুষের নাকের অস্বাভাবিক গঠন, যেমন নাকের পর্দা বাঁকা হওয়া বা টনসিল বড় হওয়া, তাদের নাক ডাকার কারণ হতে পারে।

নাক ডাকার লক্ষণ:

  • রাতে শ্বাসপ্রশ্বাসের শব্দ (ধ্বনি) হওয়া।
  • সকালে গলা বা মাথাব্যথা অনুভব করা।
  • দিনের সময় অস্থিরতা বা ঘুমানোর অনুভূতি।
  • রাতে ঘুম কম হওয়া বা অসুবিধা অনুভব করা।

নাক ডাকার প্রতিকার:

  1. ওজন কমানো: অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে শরীরের স্বাস্থ্য বজায় রাখুন।
  2. শরীরের অবস্থান পরিবর্তন: পিঠে শুয়ে ঘুমানোর পরিবর্তে পাশে শুয়ে ঘুমানো চেষ্টা করুন।
  3. নাক পরিষ্কার রাখা: ঠান্ডা বা সর্দির কারণে নাক বন্ধ হলে নাক পরিষ্কার করুন, অথবা স্যালাইন নাক স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন।
  4. অ্যালকোহল এবং ধূমপান পরিহার: এরা শ্বাসপ্রশ্বাসের পথে সমস্যা সৃষ্টি করে, তাই তাদের থেকে বিরত থাকুন।
  5. ঘুমের নিয়ম বজায় রাখা: রাতে সঠিক সময় ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন, যাতে ঘুমের মান ভালো থাকে।
  6. চিকিৎসক পরামর্শ: যদি নাক ডাকা গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *