মাথায় উকুন কারন,লক্ষন,প্রতিকার

মাথায় উকুন (Lice) হলো একটি ক্ষুদ্র পরজীবী পোকা, যা মানুষের মাথার চুলে বসবাস করে এবং চুলের রক্ত খেয়ে বাঁচে। এটি সাধারণত বাচ্চাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, তবে বড়দের মধ্যেও হতে পারে।

উকুনের কারণ:

1. সংক্রমণ: উকুন অন্য কাউকে সংক্রমিত করার মাধ্যমে ছড়ায়, বিশেষত যখন একে অপরের মাথায় সরাসরি যোগাযোগ হয় (যেমন, স্কুলে বা পার্টিতে)।
2. অপরিষ্কার পরিবেশ: মাথার পরিষ্কার না রাখা, নিয়মিত চুল না ধোয়া।
3. শেয়ারিং: টুপি, হ্যাট, হেয়ার ব্রাশ, বা বিছানা শেয়ার করলে উকুন সংক্রমিত হতে পারে।
4. হাইজিনের অভাব: শারীরিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবও উকুনের সৃষ্টি করতে পারে।

উকুনের লক্ষণ:

1. চুলকানি: মাথায় প্রচুর চুলকানি হয়, যা উকুনের কামড়ে রক্ত বের হওয়ার কারণে হতে পারে।
2. চুলের মধ্যে সাদা ছোট দানা: উকুনের ডিম চুলের গোড়ায় আটকে থাকে এবং এগুলো সাদা বা হালকা রঙের দেখতে হয়। এগুলো সাধারণত চুলের সাথে শক্তভাবে আটকে থাকে।
3. মাথার ত্বকে লালচে দাগ বা ফোসকা: উকুনের কামড়ে মাথায় র‍্যাশ বা ফোসকা হতে পারে, যা জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে।
4. মাথার ত্বক শুকানো: উকুনের কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে বা এক ধরনের অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে।

উকুনের প্রতিকার:

1. বিশেষ শ্যাম্পু ব্যবহার: উকুন দূর করার জন্য বাজারে বিভিন্ন বিশেষ শ্যাম্পু পাওয়া যায়, যা পেরেথ্রিন বা পাইরেথ্রিন উপাদান নিয়ে তৈরি। এই শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
2. চিরুনি ব্যবহার: উকুন খুঁজে বের করতে এবং দূর করতে বিশেষ ধরনের চিরুনি (যেমন লাউস কম্ব) ব্যবহার করা হয়। এর সাহায্যে চুলের মধ্যে আটকে থাকা উকুন ও ডিমগুলি সরানো যায়।
3. হেডগিয়ার পরিষ্কার করা: যে কোনো ধরনের হ্যাট, কম্বল বা টুপি যা ব্যবহার করা হয়েছে, তা ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করা উচিত।
4. মাথা তেল দিয়ে কম্প্রেস করা: তেল দিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করে কিছু সময় রেখে এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলা উকুনের উপদ্রব কমাতে সহায়তা করে।
5. কাপড় ও বিছানা পরিষ্কার করা: বিছানা, তোয়ালে, বালিশের কভার সব পরিষ্কার করা এবং গরম পানি দিয়ে ধোয়া।

এভাবে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে এবং সঠিক প্রতিকার মেনে চললে উকুন থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।