তিব্রমনকষ্ট (Acute pain) হলো এমন এক ধরনের তীব্র এবং অসহনীয় ব্যথা যা সাধারণত শরীরে কোনো আঘাত বা রোগের কারণে হয়। এটি সাধারণত হঠাৎ করে শুরু হয় এবং শরীরের কোনো নির্দিষ্ট অংশে অনুভূত হয়। তিব্রমনকষ্টের লক্ষণগুলো দ্রুত এবং তীব্রভাবে প্রকাশিত হয়, যার কারণে মানুষ শারীরিক ও মানসিকভাবে ভুগতে পারে।
তিব্রমনকষ্টের কারণসমূহ:
- শরীরের আঘাত: যেমন কাটা, পুড়লে, হাড় ভাঙা ইত্যাদি।
- শল্যচিকিৎসা: অপারেশনের পর শরীরে তীব্র ব্যথা হতে পারে।
- শরীরের সংক্রমণ: বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ, যেমন ব্যাকটেরিয়াল বা ভাইরাল ইনফেকশন থেকে তীব্র ব্যথা হতে পারে।
- দীর্ঘস্থায়ী রোগ: কিছু দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যেমন গ্যাস্ট্রিক আলসার, অস্টিওআর্থ্রাইটিস ইত্যাদি তীব্র ব্যথার কারণ হতে পারে।
তিব্রমনকষ্টের লক্ষণ:
- তীব্র ব্যথা, যা সহ্য করা কঠিন।
- শরীরের নির্দিষ্ট অংশে স্থায়ী ব্যথা অনুভূত হওয়া।
- ব্যথা অনুভূত স্থানে ফুলে যাওয়া, লাল হওয়া বা তাপ অনুভূত হওয়া।
- শরীরের নির্দিষ্ট অংশে চলাচলে সমস্যা হওয়া (যেমন, হাঁটতে বা উঠতে কষ্ট হওয়া)।
তিব্রমনকষ্টের প্রতিকার:
- ব্যথানাশক ঔষধ: প্যারাসিটামল, আইবুপ্রোফেন, বা অ্যাসপিরিন ধরনের ঔষধ তিব্রমনকষ্ট কমাতে সাহায্য করতে পারে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ গ্রহণ করা উচিত।
- গরম বা ঠান্ডা সেঁক: ব্যথার স্থানে গরম বা ঠান্ডা সেঁক দেওয়া তীব্রতা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- শারীরিক বিশ্রাম: শরীরের কোনো স্থানে আঘাত পেলে বিশ্রাম নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
- ফিজিওথেরাপি: শারীরিক ব্যথার কারণে সমস্যা হলে ফিজিওথেরাপি নেওয়া উপকারী হতে পারে।
- চিকিৎসক পরামর্শ: দীর্ঘস্থায়ী বা তীব্র ব্যথা হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখানো উচিত।
এছাড়া, বিভিন্ন প্রাকৃতিক পদ্ধতিতেও ব্যথা কমানোর চেষ্টা করা যেতে পারে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এগুলি করা উত্তম।