Best Homeo Doctor

ঠোঁট ফাটা কি,কারন,লক্ষন।প্রতিকার

ঠোঁট ফাটা (Chapped Lips) একটি সাধারণ সমস্যা, যা ঠোঁটের ত্বকে শুষ্কতা, ফাটা বা দাগ সৃষ্টি করে। ঠোঁটের ত্বক অত্যন্ত নরম এবং সূক্ষ্ম হওয়ায় এটি সহজেই শুষ্ক হয়ে ফাটতে পারে। ঠোঁট ফাটা সাধারণত শীতকাল বা গরমে হতে পারে, তবে এটি আরো অনেক কারণে ঘটতে পারে।

ঠোঁট ফাটার কারণ:

  1. শুষ্ক আবহাওয়া: শীতকালে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে বাতাস শুষ্ক হয়ে যায়, যা ঠোঁটের আর্দ্রতা শুষে নেয় এবং ঠোঁট ফাটাতে সহায়তা করে।
  2. পানি বা আর্দ্রতার অভাব: শরীরে পর্যাপ্ত পানি না পান করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, যার কারণে ঠোঁটও ফাটতে পারে।
  3. অতিরিক্ত ঠোঁটে লালা লাগানো: ঠোঁটে অতিরিক্ত লালা লাগানো (লালা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে রাখলে) ঠোঁট শুষ্ক ও ফাটা হতে পারে, কারণ লালায় থাকে অ্যালকোহল যা ত্বক শুষ্ক করে।
  4. ভিটামিনের অভাব: বিশেষত ভিটামিন B বা আয়রনের অভাব হলে ঠোঁটের শুষ্কতা ও ফাটা হতে পারে।
  5. ধূমপান: ধূমপানের ফলে ঠোঁটের ত্বক শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
  6. মুখের অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা: অ্যালার্জি, সংক্রমণ, বা অন্যান্য রোগ যেমন চর্মরোগ (eczema) বা ঠোঁটের ইনফেকশনও ঠোঁট ফাটার কারণ হতে পারে।
  7. গরম বা সূর্যের তাপ: গরম আবহাওয়া বা সূর্যের তাপে ঠোঁটের ত্বক শুকিয়ে গিয়ে ফাটতে পারে।
  8. কোস্মেটিক বা লিপ বাম ব্যবহার: কিছু কসমেটিক প্রোডাক্ট বা লিপ বাম ঠোঁটের শুষ্কতা বাড়াতে পারে যদি সেগুলি অতিরিক্ত ব্যবহার করা হয়।

ঠোঁট ফাটার লক্ষণ:

  • ঠোঁটের বাইরের অংশে শুষ্কতা এবং দাগ বা ফাটল।
  • ঠোঁটে ব্যথা বা জ্বালা অনুভব হওয়া।
  • ঠোঁটের ত্বকে ক্ষত বা রক্তপাত হওয়া।
  • ঠোঁট চুলকানো বা আলগা হওয়া।
  • ঠোঁটের চারপাশে লালচে ভাব বা সোজা আড়াল হওয়া।

ঠোঁট ফাটার প্রতিকার:

  1. লিপ বাম বা লিপ বাটার ব্যবহার: ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করতে ময়েশ্চারাইজিং লিপ বাম বা লিপ বাটার ব্যবহার করা উচিত। এটি ঠোঁটের ত্বককে নরম রাখে এবং রক্ষা করে।
  2. ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখা: ঠোঁটের শুষ্কতা কমাতে ঠোঁটে নিয়মিত আর্দ্রতা লাগানো এবং ঠোঁটে লালা না লাগানোর চেষ্টা করা।
  3. পর্যাপ্ত পানি পান করা: শরীরে পর্যাপ্ত পানি পান করলে ত্বক আর্দ্র থাকে এবং ঠোঁটের শুষ্কতা কমে।
  4. ভিটামিন খনিজ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া: ভিটামিন B, C, আয়রন, এবং ফোলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া যেমন ফলমূল, শাকসবজি, ডাল, বাদাম ইত্যাদি।
  5. শীতের দিনে ঠোঁট ঢেকে রাখা: শীতে ঠোঁটের শুষ্কতা থেকে রক্ষা পেতে মুখ ঢেকে রাখুন বা মফফলার ব্যবহার করতে পারেন।
  6. গরম জল মধু: ঠোঁটে গরম জল দিয়ে স্নান করলে ত্বক আর্দ্র হয়ে থাকে, এরপর মধু বা গোলাপজল লাগানো যেতে পারে।
  7. ঘরোয়া উপকরণ:
    • এলোভেরা জেল: এটি ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করে এবং ত্বককে নরম রাখে।
    • অলিভ অয়েল: ঠোঁটে অলিভ অয়েল লাগালে শুষ্কতা দূর হয় এবং ঠোঁট মোলায়েম হয়।
    • কোকোনাট অয়েল: এটি ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে।
  8. আলদা, তিক্ত খাবার এড়িয়ে চলা: গরম, তিক্ত বা মসলাযুক্ত খাবার ঠোঁটের শুষ্কতা বাড়াতে পারে, তাই এগুলি পরিহার করা ভালো।

চিকিৎসকের পরামর্শ:

যদি ঠোঁটের ফাটা অব্যাহত থাকে বা গুরুতর সমস্যা হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বিশেষত, যদি এটি সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে বা অন্যান্য রোগের লক্ষণ হয়।

এটি আপনার উপকারে আসবে, আশা করি!

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *