আদকপাল (ফুসফুসের আদকপাল) হচ্ছে এক ধরনের সমস্যা, যেখানে ত্বক বা শিরার মধ্যে রক্ত সঞ্চালন বা প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয় এবং ত্বকে বা শরীরের অংশে আঘাত বা চাপে জমা হতে থাকে। এটি সাধারণত পুরনো আঘাত, জ্বালা, কেটে যাওয়া বা অন্য কোনো ধরনের চাপের ফলস্বরূপ হতে পারে।
কারণ:
- অতিরিক্ত শারীরিক চাপ: বেশিরভাগ সময় শারীরিক কর্মকাণ্ডের সময় অতিরিক্ত চাপের কারণে আদকপাল হয়ে থাকে।
- প্রচুর উষ্ণতা বা ঠাণ্ডা: শরীরের তাপমাত্রার তীব্র পরিবর্তনও আদকপাল সৃষ্টি করতে পারে।
- উচ্চ রক্তচাপ: রক্তের প্রবাহে অস্বাভাবিকতা থাকলে আদকপাল হতে পারে।
- আঘাত বা কাটা: শরীরের অংশে আঘাত প্রাপ্তির পরে পিণ্ডের মত ক্ষত তৈরি হয়ে আদকপাল হতে পারে।
- অতিরিক্ত ওজন: যদি শরীরে অতিরিক্ত মেদ থাকে, তবে তা ত্বকের নিচে চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং আদকপাল হয়ে যেতে পারে।
লক্ষণ:
- ত্বকে লালচে বা নীলচে গাঁথা বা ফুলে ওঠা।
- পায়ে বা হাতের যে কোন অংশে আঘাতের পর উত্তেজনা বা ব্যথা অনুভূতি।
- শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা বা শরীরের কোন অংশে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে সমস্যা।
প্রতিকার:
- উপযুক্ত বিশ্রাম: আদকপাল হওয়া অংশে চাপ না দেয়ার জন্য শারীরিক বিশ্রাম নেওয়া উচিত।
- গরম বা ঠাণ্ডা সেঁক: আদকপাল আক্রান্ত স্থানকে গরম বা ঠাণ্ডা সেঁক দেওয়ার মাধ্যমে ব্যথা বা ফুলে ওঠা কমানো যেতে পারে।
- প্রয়োজনীয় শল্য চিকিৎসা: যদি সমস্যা বড় হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, তারা হয়তো শল্যচিকিৎসা বা অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি পরামর্শ দিতে পারেন।
- ওষুধ: ব্যথা কমানোর জন্য ওষুধ বা সেলফ কেয়ার ব্যবহার করা যেতে পারে।
- অতিরিক্ত ওজন কমানো: শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমালে চাপের সৃষ্টি কম হবে এবং আদকপালের সমস্যা কমে যাবে।
এটি সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা নয়, তবে যদি সমস্যা বাড়ে বা স্থায়ী হয়, তাহলে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরামর্শ নেওয়া উচিত।