সর্দি-জ্বর হলো সাধারণত ঠাণ্ডা বা ভাইরাসের কারণে শরীরের সংক্রমণজনিত একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। সর্দি ও জ্বর সাধারণত একসাথে হয় এবং এটি শীতকালে বেশি দেখা যায়।
কারণ:
১. ভাইরাসের সংক্রমণ: সাধারণত সর্দি ও জ্বর ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। ভাইরাসের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ হল রাইনোভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, করোনাভাইরাস, ইত্যাদি।
২. ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ: কিছু ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়ার কারণে সর্দি ও জ্বর হতে পারে।
৩. অপরিষ্কার পরিবেশ: অপরিষ্কার পরিবেশ, ঠাণ্ডা আবহাওয়া বা বেশি লোকের ভিড় সর্দি-জ্বরের প্রাথমিক কারণ হতে পারে।
৪. দুর্বল ইমিউন সিস্টেম: শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে সর্দি ও জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
লক্ষণ:
১. জ্বর: শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
২. সর্দি বা নাক বন্ধ: নাক থেকে পানি পড়া বা নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া।
৩. গলা ব্যথা: গলায় খুসখুস বা ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
৪. শরীরের দুর্বলতা: শরীরের শক্তি কমে যায়, ক্লান্তি অনুভূত হয়।
৫. কাশি: শুকনো কাশি বা সর্দি সঙ্গে কাশি হতে পারে।
৬. শরীরের পেশীতে ব্যথা: শরীরে অস্বস্তি বা ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
৭. শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট: শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে।
প্রতিকার:
১. বিশ্রাম: পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে যাতে শরীর দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারে।
২. পানি পান: প্রচুর পানি, স্যুপ বা তরল খাবার খাওয়া জরুরি, এতে শরীর হাইড্রেটেড থাকে এবং সহজে সর্দি-জ্বর চলে যায়। ৩. তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ: জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল বা অন্য কোনো জ্বর কমানোর ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪. গরম পানির স্টিম বা ইনহেলেশন: গরম পানির স্টিম শ্বাসনালীকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
৫. গলায় গার্গল করা: গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গার্গল করলে গলা ব্যথা কমে।
৬. অ্যান্টি-ভাইরাল বা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ওষুধ: যদি ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে।
৭. সাজেশন: ঠাণ্ডা ও ভেজা জায়গা থেকে দূরে থাকা, সর্দি ও জ্বরের উপসর্গ থাকলে জনসমাগম থেকে বিরত থাকা।
এটি সাধারণত এক সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায়, তবে যদি উপসর্গ দীর্ঘস্থায়ী হয় বা পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে যায়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।