Best Homeo Doctor

এনাল ফিসার (Anal Fissure) হল মলদ্বারের ত্বক বা শ্লেষ্মা ঝিল্লির ছোট ফাটল বা আঘাত, যা সাধারণত মলত্যাগের সময় ব্যথা সৃষ্টি করে। এটি সাধারণত মলদ্বারের আশেপাশে বা ভিতরে ঘটে এবং এটি খুব যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে। এটি সাধারনত মলত্যাগের সময় বা পরে অনুভূত হয়।

এনাল ফিসারের কারণ:

১. কোষ্ঠকাঠিন্য (Constipation): কঠিন বা শুষ্ক মল পাস করার সময় অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয়, যা মলদ্বারে ফাটল সৃষ্টি করতে পারে।

২. দীর্ঘ সময় ধরে মলত্যাগের সময় বসে থাকা: দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকার কারণে মলদ্বারে অতিরিক্ত চাপ পড়তে পারে।

৩. মলদ্বারের অস্বাভাবিক চাপ: মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করলে মলদ্বারে ফাটল হতে পারে।

৪. ডায়রিয়া: দীর্ঘকাল ধরে ডায়রিয়া বা তরল মল আসার কারণে মলদ্বারের শ্লেষ্মা ঝিল্লি আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে।

৫. এনাল সেক্স: কিছু ক্ষেত্রে, অস্বাস্থ্যকর বা অতিরিক্ত চাপের কারণে এনাল সেক্সের ফলে ফিসার হতে পারে।

৬. গর্ভাবস্থা: গর্ভাবস্থায় হরমোনাল পরিবর্তন এবং কোষ্ঠকাঠিন্য এনাল ফিসারের কারণ হতে পারে।

এনাল ফিসারের লক্ষণ:

১. মলত্যাগের সময় তীব্র ব্যথা: বিশেষ করে মলদ্বারের ফাটল থাকা স্থানে ব্যথা অনুভূত হয়।

২. রক্তপাত: মলত্যাগের সময় বা পরে মলদ্বার থেকে কিছুটা রক্ত পড়তে পারে।

৩. মলদ্বারে জ্বালাপোড়া বা চুলকানি: ফিসারের কারণে মলদ্বারে জ্বালাপোড়া বা অস্বস্তি হতে পারে।

৪. মলদ্বারে টান অনুভূতি: ফাটল বা ক্ষত সেরে উঠতে সময় নিলে, সেখানে টান বা অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে।

৫. এলাকা ফোলাভাব: মলদ্বারে ক্ষত বা ফাটলের কারণে চারপাশে সামান্য ফোলাভাব হতে পারে।

এনাল ফিসারের প্রতিকার:

১. ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া: কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে শাকসবজি, ফলমূল এবং সঠিক পরিমাণে পানি পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২. পানি পান করা: যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান করা মলকে নরম করে এবং মলত্যাগকে সহজ করে।

৩. তাপসিক্ত স্নান (Sitz Bath): গরম পানিতে মলদ্বার স্নান করা (সিটস বাথ) ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে

। ৪. ব্যথানাশক ক্রিম বা স্থানীয় চিকিৎসা: স্থানীয় অ্যানালগেজিক ক্রিম বা মলদ্বারের জন্য বিশেষত্বযুক্ত ক্রীম ব্যবহার করা যেতে পারে।

৫. প্রাকৃতিক উপকরণ: যেমন অ্যালোভেরা, নারকেল তেল ব্যবহার করা, যাতে প্রদাহ কমানো যায়।

৬. ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করা: মলদ্বারে চাপ কমানোর জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া কমাতে হবে।

৭. ওষুধ: ব্যথা কমাতে এবং প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু স্থানীয় ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।

যদি এনাল ফিসারের লক্ষণগুলো দীর্ঘ সময় ধরে থাকে বা তীব্র হয়ে ওঠে, তবে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। কিছু ক্ষেত্রে, সার্জারি বা আরও উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *