Best Homeo Doctor

সোরাইসিস কি,কারন,লক্ষন,প্রতিকার

সোরাইসিস (Psoriasis) হল একটি দীর্ঘমেয়াদী চর্মরোগ যা ত্বকের কোষের অতিরিক্ত বৃদ্ধি ও দ্রুত পরিবর্তনের কারণে হয়। এটি ত্বকে লাল, খসখসে, ফাটলযুক্ত এবং সোনালী সাদা আঁচলের মতো দাগ তৈরি করে।

সোরাইসিসের কারণ:

সোরাইসিসের সঠিক কারণ জানা না গেলেও এটি কিছু প্রভাবক কারণে হতে পারে:

  1. জেনেটিক: পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যদি সোরাইসিস থাকে, তবে তার পক্ষে এটি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
  2. অটোইমিউন প্রতিক্রিয়া: সোরাইসিস অটোইমিউন রোগের একটি রূপ, যেখানে শরীরের রোগপ্রতিরোধী ব্যবস্থা নিজেই ত্বক কোষকে আক্রমণ করে।
  3. পরিবেশগত কারণ: বিশেষ কিছু পরিবেশগত বা বাহ্যিক কারণে সোরাইসিস প্রভাবিত হতে পারে, যেমন ধূমপান, অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান, ঠাণ্ডা বা শুষ্ক আবহাওয়া।
  4. ট্রিগার ফ্যাক্টর: মানসিক চাপ, সংক্রমণ বা কিছু ওষুধের ব্যবহারের ফলে সোরাইসিসের প্রাদুর্ভাব হতে পারে।

সোরাইসিসের লক্ষণ:

  • লাল এবং সোনালী সাদা আঁচল: ত্বকে লাল, খসখসে, সোনালী সাদা আঁচল দেখা দেয়, বিশেষ করে কনুই, হাঁটু, স্কাল্প (মাথার ত্বক), পিঠ, পেট এবং হাতে।
  • চুলকানি এবং ব্যথা: ত্বক চুলকায় এবং কখনও কখনও ব্যথা হতে পারে।
  • বিভিন্ন প্রকারের দাগ: সোরাইসিসের বিভিন্ন প্রকার থাকতে পারে, যেমন প্লেক সোরাইসিস (সবচেয়ে সাধারণ), গুটিকা সোরাইসিস, পুসটুলার সোরাইসিস, আর্কিউট সোরাইসিস ইত্যাদি।
  • ফাটল এবং রক্তপাত: ত্বকে ফাটল বা ক্ষত হতে পারে, যেগুলি থেকে রক্তপাত হতে পারে।

সোরাইসিসের প্রতিকার:

সোরাইসিস পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব না হলেও, বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে এর লক্ষণগুলি কমানো যায়:

  1. লোকাল (স্থানীয়) চিকিৎসা:
    • কর্কুমি বা স্টেরয়েড ক্রিম: ত্বকের প্রদাহ কমানোর জন্য।
    • ভিটামিন ডি ক্রিম: ত্বকের কোষের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  2. সূর্যের আলো: সামান্য সূর্যস্পর্শ সোরাইসিসের লক্ষণ কমাতে সাহায্য করতে পারে, তবে অতিরিক্ত সূর্য রোদের দিকে যাওয়া ক্ষতিকারক হতে পারে।
  3. দ্রুত শাওয়ার এবং ময়শ্চারাইজার ব্যবহার: ত্বক শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ।
  4. বিশেষ ধরণের স্নান: ওটমিল বা কোলয়েডাল আর্সেনিক স্নান ত্বককে শান্ত করতে পারে।
  5. ওষুধ:
    • টপিক্যাল স্টেরয়েড (ক্রিম বা মলম হিসাবে), ভিটামিন ডি এনালগস, টপিক্যাল রেটিনয়েডস
    • যদি স্থানীয় চিকিৎসা কাজ না করে, ডাক্তার সিস্টেমিক থেরাপি যেমন অ্যান্টিসোরাইসিস ড্রাগ বা বায়োলজিকস সুপারিশ করতে পারেন।

জীবনের ধরন প্রতিরোধ:

  • স্ট্রেস কমান: মানসিক চাপ কমানো সোরাইসিসের তীব্রতা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • ধূমপান এবং অ্যালকোহল পরিহার: এই দুটি বিষাক্ত উপাদান সোরাইসিসের লক্ষণ বাড়াতে পারে।

যেহেতু সোরাইসিস একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ, সঠিক চিকিৎসা এবং যত্নের মাধ্যমে এর প্রভাব কমানো যায় এবং জীবনযাত্রা সহজ করা যায়।

 

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *