Best Homeo Doctor

শ্বেতী কি,কারন,লক্ষন,প্রতিকার

শ্বেতী (Leucorrhea) এক ধরনের গাইনোকোলজিকাল সমস্যা, যা মহিলাদের যোনি থেকে সাদা বা সাদাটে স্রাব বা গা dark ় স্রাব নির্গমনের কারণে ঘটে। এটি সাধারণত স্বাভাবিক শারীরিক অবস্থার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হলেও, কখনও কখনও এটি অন্য স্বাস্থ্য সমস্যা বা সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে।

শ্বেতীর কারণ:

  1. হরমোনাল পরিবর্তন: প্রজননকালে বা প্রজননকালের পরে মহিলাদের শরীরে হরমোনাল পরিবর্তন হওয়ার কারণে শ্বেতী হতে পারে। যেমন, প্রেগন্যান্সির সময়, মাসিক চক্র, কিংবা মেনোপজের সময়ে।
  2. ইনফেকশন: ভ্যাগিনাল বা সার্ভিকাল সংক্রমণ, যেমন ফাঙ্গাল (যেমন ক্যান্ডিডিয়া), ব্যাকটেরিয়াল (যেমন ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস), অথবা যোনির অন্যান্য ইনফেকশন শ্বেতী সৃষ্টি করতে পারে।
  3. স্ট্রেস এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাবার, বা শারীরিক পরিশ্রমের অভাবেও শ্বেতী হতে পারে।
  4. সেনানিবৃত্তি বা শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন: যোনির পিএইচ ভারসাম্যের পরিবর্তন, ব্যাকটেরিয়া এবং মাইক্রোঅর্গানিজমের ভারসাম্যহীনতা শ্বেতী সৃষ্টি করতে পারে।
  5. গর্ভাবস্থা: গর্ভাবস্থায় হরমোনের কারণে শ্বেতী হতে পারে, যা সাধারণত কোনো সমস্যা না হলেও কখনও কখনও বেশি পরিমাণে শ্বেতী হতে পারে।

শ্বেতীর লক্ষণ:

  1. সাদা বা সাদাটে স্রাব: স্রাবের পরিমাণ সাধারণত বৃদ্ধি পায় এবং তা সাদা বা হালকা সাদাটে হয়ে থাকে।
  2. গন্ধ: সাধারণত কোনো গন্ধ থাকে না, তবে যদি ইনফেকশন থাকে, সেক্ষেত্রে তীব্র গন্ধযুক্ত স্রাব হতে পারে।
  3. যোনিতে জ্বালা বা চুলকানি: কখনও কখনও শ্বেতীর সঙ্গে যোনিতে জ্বালা বা চুলকানি হতে পারে।
  4. যোনিতে অস্বস্তি: কিছু মহিলার যোনিতে অস্বস্তি বা ভারী ভাব অনুভূত হতে পারে।
  5. পেটের নিচে ব্যথা: কিছু ক্ষেত্রে শ্বেতী পেটের নিচে ব্যথা বা অস্বস্তির কারণও হতে পারে।

শ্বেতীর প্রতিকার:

  1. সাধারণ পরিচ্ছন্নতা: প্রতিদিন ভালোভাবে যোনি পরিষ্কার করা উচিত। তবে অতিরিক্ত সাবান বা অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার পরিহার করা উচিত।
  2. পানির পরিমাণ বৃদ্ধি: শরীর হাইড্রেটেড রাখার জন্য প্রচুর পানি পান করা উচিত।
  3. সুস্থ খাদ্যাভ্যাস: স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, বিশেষ করে প্রোটিন, ফলমূল, সবজি এবং পূর্ণ শস্য জাতীয় খাবার খাওয়া শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
  4. স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: যথেষ্ট বিশ্রাম নেওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করা উচিত।
  5. মেডিক্যাল ট্রীটমেন্ট: যদি শ্বেতী ইনফেকশনের কারণে হয়, তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নেওয়া উচিত। এর মধ্যে অ্যান্টিফাঙ্গাল বা অ্যান্টিবায়োটিক থেরাপি থাকতে পারে, যা ডাক্তার প্রয়োজন অনুযায়ী দেন।
  6. এন্টিবায়োটিক ফাঙ্গাল ট্রীটমেন্ট: যদি ইনফেকশন থাকে, তবে চিকিৎসক এর জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ দেবেন।

যদি শ্বেতী বেশি পরিমাণে হয়, বা গন্ধযুক্ত বা ব্যথার সাথে হয়, তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা জরুরি।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *