যোনির ক্যান্সার (Vaginal Cancer) হল যোনির ভিতরের অংশে সেলগুলির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি যা ক্যান্সারে পরিণত হতে পারে। এটি একটি অতি বিরল ক্যান্সার, তবে এর সঠিক কারণ এবং লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানানো গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ:
যোনির ক্যান্সারের সঠিক কারণটি এখনও পুরোপুরি জানা যায়নি, তবে কিছু প্রভাবক ফ্যাক্টর বা ঝুঁকি থাকতে পারে:
- এইচপিভি (HPV) সংক্রমণ: মানব প্যাপিলোমা ভাইরাস (HPV) যোনির ক্যান্সারের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত। বিশেষত, HPV-16 এবং HPV-18 স্ট্রেইন যোনির ক্যান্সারে সবচেয়ে বেশি সম্পর্কিত।
- ধূমপান: ধূমপান যোনির ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে।
- ইমিউন সিস্টেম দুর্বলতা: HIV বা ইমিউন সিস্টেম দুর্বল করার মতো অন্যান্য রোগগুলির কারণে যোনির ক্যান্সার হতে পারে।
- পূর্বের ক্যান্সার: যদি কোনো মহিলা আগে জরায়ু (cervical cancer) বা অন্যান্য নারীজ ঔরস ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, তবে তার যোনির ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
- বয়স: এই ক্যান্সার সাধারণত ৬০ বছরের উপরে মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
- ওষুধের ব্যবহার: কিছু মেয়েদের মধ্যে, যারা ডায়থিলস্টিলবেস্ট্রোল (DES) নামক এক ধরনের হরমোন ব্যবহার করেছেন, তাদের যোনির ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
লক্ষণ:
যোনির ক্যান্সারের প্রথম দিকে কোনো স্পষ্ট লক্ষণ থাকতে নাও পারে। তবে কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে:
- অস্বাভাবিক যোনি স্রাব: স্রাবের গা dark ় রঙ, পানির মতো বা রক্তাক্ত হতে পারে।
- যোনিতে রক্তপাত: বিশেষত মেনোপজ পরবর্তী সময়ে বা সেক্সের পর রক্তপাত।
- যোনিতে ব্যথা বা অস্বস্তি: চলাফেরা, সেক্স বা অন্যান্য কার্যকলাপে ব্যথা অনুভব হতে পারে।
- যোনির ভিতরে গাঁথ: যোনিতে একটা গাঁথ বা টিউমার অনুভূত হতে পারে।
- প্রসবের সময় সমস্যা: প্রসব বা যোনির অন্য কোনও অস্ত্রোপচারের সময় সমস্যা হতে পারে।
প্রতিকার:
যোনির ক্যান্সারের চিকিৎসা নির্ভর করে ক্যান্সারের পর্যায় এবং মহিলার বয়সের উপর। সাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতিগুলি হলো:
- সার্জারি (অস্ত্রোপচার): ক্যান্সারের টিউমার বা affected অংশ অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার করা হয়।
- কেমোথেরাপি: কেমোথেরাপি চিকিত্সা প্রয়োগের মাধ্যমে ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করা হয়।
- রেডিওথেরাপি: ক্যান্সারের কোষগুলোকে ধ্বংস করতে রেডিওএকটিভ তেজস্ক্রিয়তাসম্পন্ন রশ্মি প্রয়োগ করা হয়।
- টার্গেটেড থেরাপি: ক্যান্সারের বিশেষ কোষের উপর সরাসরি আক্রমণ করে থেরাপি প্রয়োগ করা হয়।
যোনির ক্যান্সারের প্রতিরোধের জন্য HPV ভ্যাকসিন নেওয়া, ধূমপান পরিহার, এবং নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এগুলো ছাড়াও, যদি কোনো মহিলার যোনিতে অস্বাভাবিক কিছু অনুভূতি থাকে, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।