মলদ্বারে অর্শ বা পাইলস (Hemorrhoids) হল মলদ্বারের চারপাশে বা আন্ত্রিক অঞ্চলে স্ফীত বা ফুলে যাওয়া রক্তনালি। এটি সাধারণত মলত্যাগের সময় ব্যথা বা অস্বস্তির সৃষ্টি করতে পারে।
পাইলসের কারণ:
১. অতিরিক্ত চাপ: দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকা, ভারী বস্তু উত্তোলন করা, কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য হতে মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ তৈরি হওয়া।
২. আনহেলথি ডায়েট: খাদ্যতালিকায় ফাইবারের অভাব এবং কম জলপান।
৩. গর্ভাবস্থা: গর্ভাবস্থায় শিশুর চাপের কারণে পাইলস হতে পারে।
৪. বয়স: বয়স বাড়ার সাথে সাথে মলদ্বারের রক্তনালী দুর্বল হতে পারে।
৫. জীবনধারা: শারীরিক সক্রিয়তা কম হওয়া এবং দীর্ঘ সময় ধরে বসে কাজ করা।
৬. জেনেটিক ফ্যাক্টর: পরিবারে পাইলসের ইতিহাস থাকলে আপনি এতে আক্রান্ত হতে পারেন।
পাইলসের লক্ষণ:
১. মলত্যাগের সময় ব্যথা বা অস্বস্তি।
২. মলদ্বারের আশেপাশে লালচে বা ফুলে যাওয়া
। ৩. মলত্যাগের সময় রক্ত পড়া (সাধারণত মল সাদা বা কালো না হয়ে লাল রঙের হতে পারে)।
৪. মলদ্বারে চুলকানি বা জ্বালাপোড়া। ৫. মলদ্বারে গাঁঠ বা ফোলাভাব অনুভূতি।
পাইলসের প্রতিকার:
১. ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া: পুষ্টিকর খাবার যেমন শাকসবজি, ফলমূল এবং সঠিক পরিমাণে পানি পান করা।
২. কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা: কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে নিয়মিত ভলিউম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা।
৩. নিয়মিত ব্যায়াম করা: শারীরিক সক্রিয়তা বাড়ানোর মাধ্যমে মলদ্বারের উপর চাপ কমানো
। ৪. সোশাল সিট ব্যাবহার করা: বাথরুমে দীর্ঘ সময় বসে না থাকা এবং মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ না দেওয়া।
৫. হট বা কোল্ড সিট ব্যবহার: মলদ্বারের স্বস্তির জন্য গরম পানি বা বরফ ব্যবহার করা যেতে পারে।
৬. ওষুধ: পাইলসের জন্য স্থানীয় ক্রিম, অ্যালোভেরা জেল বা ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে (ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী)।
৭. শল্যচিকিৎসা: গুরুতর অবস্থায় সার্জারি বা লিগেশন হতে পারে।
যদি পাইলসের লক্ষণগুলি দীর্ঘ সময় ধরে থাকে বা গুরুতর হয়, তবে ডাক্তারকে পরামর্শ নেওয়া উচিত।