পুরুষত্বহীনতা বা এরেকটাইল ডিসফাংশন (Erectile Dysfunction) হলো এমন একটি শারীরিক অবস্থা যেখানে পুরুষের পেনিস যথেষ্ট শক্ত হতে পারে না, বা যৌনসম্পর্ক স্থাপনের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে শক্ত রাখা সম্ভব হয় না। এটি পুরুষের যৌনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত একটি সাধারণ সমস্যা।
কারণ:
পুরুষত্বহীনতার বিভিন্ন শারীরিক, মানসিক এবং পরিবেশগত কারণ থাকতে পারে। কিছু সাধারণ কারণ হলো:
- শারীরিক সমস্যা:
- হার্ট ডিজিজ বা উচ্চ রক্তচাপ
- ডায়াবেটিস
- ওজন বেশি বা স্থূলতা
- স্নায়ুর সমস্যা
- হরমোনের অসমতা (যেমন টেস্টোস্টেরনের অভাব)
- ধূমপান ও মদ্যপান
- কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- শিরা বা ধমনীর সমস্যা
- মানসিক সমস্যা:
- মানসিক চাপ বা উদ্বেগ
- বিষণ্নতা বা ডিপ্রেশন
- সম্পর্কের সমস্যাসমূহ
- লাইফস্টাইল:
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
- শারীরিক কসরত বা ব্যায়ামের অভাব
- ঘুমের সমস্যা
লক্ষণ:
পুরুষত্বহীনতার প্রধান লক্ষণ হলো:
- যৌনমিলনের সময় পেনিসের শক্তি হারানো বা যথেষ্ট শক্ত না হওয়া।
- যৌনসুখের অনুভূতি কমে যাওয়া।
- পুনরায় যৌনমিলন করতে না পারা বা কঠিন হওয়া।
- মানসিক চাপ বা হতাশা অনুভব করা, বিশেষ করে পারফরমেন্স সম্পর্কে।
প্রতিকার:
পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যার কারণের ওপর। কিছু সাধারণ প্রতিকার হতে পারে:
- ওষুধ:
- ভায়াগ্রা, সিল্ডেনাফিল, বা অন্য অ্যান্টিইরেকটাইল ডিসফাংশন ড্রাগস যা পেনিসে রক্তপ্রবাহ বাড়ায়।
- হরমোন থেরাপি (যদি হরমোনের অভাব থাকে)
- লাইফস্টাইল পরিবর্তন:
- সঠিক খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ
- নিয়মিত ব্যায়াম
- ধূমপান বা মদ্যপান পরিহার
- মানসিক সমর্থন:
- সাইকোথেরাপি বা কাউন্সেলিং, যদি মানসিক চাপ বা উদ্বেগ থাকে।
- সম্পর্কের সমস্যাগুলোর সমাধান করা।
- চিকিৎসা পদ্ধতি:
- ইনজেকশন থেরাপি বা পাম্প ব্যবহার করা।
- অস্ত্রোপচার, যদি শারীরিক কোনো সমস্যা থাকে যা অন্য উপায়ে সমাধান না হয়।
যদি আপনি পুরুষত্বহীনতার সমস্যায় ভুগছেন, তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া সবচেয়ে ভালো।