নখ ফাটা হল এক ধরনের সমস্য যা সাধারণত নখের খোসা বা প্রান্তে ঘটে, যার ফলে নখ ভেঙে যেতে বা ফেটে যেতে পারে। এটি খুব সাধারণ একটি সমস্যা, তবে কখনও কখনও এটি শরীরের অভ্যন্তরীণ সমস্যারও লক্ষণ হতে পারে।
কারণ:
নখ ফাটার বেশ কিছু সাধারণ কারণ রয়েছে, যার মধ্যে কিছু হলো:
- শুষ্কতা: শীতকাল, বেশি হাওয়া বা প্রচুর পানি বা সাবান ব্যবহার করলে নখ শুষ্ক হয়ে ফাটতে পারে।
- খাবারের অভাব: সঠিক পুষ্টির অভাবে (যেমন, ভিটামিন বি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ইত্যাদি) নখ দুর্বল হয়ে ফাটতে পারে।
- অতিরিক্ত জল বা সাবান ব্যবহার: বেশি সময় ধরে পানি বা সাবানে হাত রাখা নখের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা নষ্ট করতে পারে।
- অতিরিক্ত চাপ বা আঘাত: নখে আঘাত বা চাপ পড়লে নখ ফেটে যেতে পারে।
- স্বাস্থ্যগত সমস্যা: কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, অ্যানিমিয়া ইত্যাদি নখের অবস্থা খারাপ করতে পারে।
- নখের উপর অতিরিক্ত কাজ করা: অতিরিক্ত হস্তশিল্প বা কেমিক্যাল ব্যবহারের কারণে নখ ফাটতে পারে।
লক্ষণ:
নখ ফাটার লক্ষণগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত:
- নখের কিনারে বা প্রান্তে ফাটল বা ভাঙন দেখা দেয়।
- নখের রং পরিবর্তন হতে পারে, যেমন হলুদ বা সাদা হয়ে যেতে পারে।
- নখের ধ্বংস বা স্ফীত হওয়ার অনুভূতি হতে পারে।
- অতিরিক্ত ক্ষত বা চুলকানির অনুভূতি হতে পারে।
প্রতিকার:
- পুষ্টি সম্পূর্ণ খাবার: প্রোটিন, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ও আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। ডিম, দুধ, শাকসবজি, বাদাম, মাছ ইত্যাদি নখের জন্য উপকারী।
- নখের পরিচর্যা: নিয়মিত নখ কেটে এবং পরিষ্কার রাখতে হবে। ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম বা তেল ব্যবহার করলে নখের শুষ্কতা কমে।
- পানি কমানো: বেশি সময় ধরে হাত বা পা পানি বা সাবানে রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে। গ্লাভস পরলে হাতের ত্বক এবং নখ সুরক্ষিত থাকে।
- নখের উপরে কেমিক্যালের ব্যবহার কমানো: নখে পলিশ বা অন্যান্য কেমিক্যাল ব্যবহার করলে তা নখের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই প্রয়োজনে ব্যবহার কমানো উচিত।
- বিশেষ নখের তেল ব্যবহার: অর্কিড অয়েল বা কাস্টর অয়েল ব্যবহার করলে নখের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
নখ যদি অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা ফাটা অব্যাহত থাকে, তাহলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।