Best Homeo Doctor

থেতলিয়ে যাওয়া কি,কারন,লক্ষন,প্রতিকার

থেতলিয়ে যাওয়া (বা ল্যাগিং বা বেদম হয়ে পড়া) হল একটি শারীরিক অবস্থা, যেখানে শরীরের কোনো অংশ বা পুরো শরীর একযোগভাবে সঠিকভাবে কাজ করতে ব্যর্থ হয়, এবং চলাফেরায় বা দাঁড়াতে অসুবিধা হয়। এটি সাধারণত পেশী বা স্নায়ুজনিত সমস্যার কারণে হতে পারে।

কারণ:

থেতলিয়ে যাওয়ার বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে:

  1. পেশী বা স্নায়ুজনিত সমস্যা: পেশী দুর্বল হওয়া বা স্নায়ুর সমস্যার কারণে পা বা শরীরের অন্য অংশ ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। যেমন:
    • পার্কিনসনস ডিজিজ: এটি এক ধরনের স্নায়ুজনিত রোগ, যেখানে শরীরের আন্দোলনে সমস্যা হতে পারে।
    • হার্ভিনিয়া ডিস্ক: রক্ত সঞ্চালন বা স্নায়ু চাপের কারণে পা বা হাতের অঙ্গ থেতলিয়ে যেতে পারে।
  2. ওভারওয়ার্ক বা শারীরিক পরিশ্রম: অতিরিক্ত শারীরিক কাজ বা পরিশ্রমের কারণে পেশী দুর্বল হতে পারে এবং ফলে চলাফেরা বা দাঁড়ানোর সময় সমস্যা হতে পারে।
  3. রক্তচাপ কমে যাওয়া: হঠাৎ করে দাঁড়িয়ে পড়লে রক্তচাপ দ্রুত কমে গেলে মস্তিষ্কে রক্ত সঠিকভাবে পৌঁছাতে পারে না, এবং এতে সাময়িকভাবে থেতলিয়ে যেতে পারে।
  4. বেরি বেরি রোগ: ভিটামিন B1 (থায়ামিন) এর অভাবে বেরি বেরি রোগ হতে পারে, যার কারণে পেশীতে দুর্বলতা এবং চলাচলে সমস্যা হয়।
  5. ডায়াবেটিস: দীর্ঘস্থায়ী ডায়াবেটিসে স্নায়ুর ক্ষতি হতে পারে, যার কারণে পা বা হাত দুর্বল হয়ে পড়ে।
  6. মস্তিষ্কের সমস্যা: মস্তিষ্কের কোনো সমস্যা যেমন স্ট্রোক, মস্তিষ্কের টিউমার, বা অন্যান্য স্নায়ুজনিত রোগও থেতলিয়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে।

লক্ষণ:

থেতলিয়ে যাওয়ার কিছু সাধারণ লক্ষণ:

  1. পা বা শরীরের এক অংশে দুর্বলতা: পা বা হাত বা শরীরের কোনো অংশে শক্তি কমে যাওয়া এবং সঠিকভাবে কাজ না করা।
  2. চলাফেরায় সমস্যা: শরীর থেতলিয়ে যাওয়ার ফলে চলাফেরা করতে কষ্ট হয়, যেমন হাঁটা বা দাঁড়ানো।
  3. অস্থিরতা বা অস্বস্তি: শরীরের ভারসাম্য হারানো, হোঁচট খাওয়া বা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি।
  4. হালকা বা ভারী মাথা: মাথা ভারী অনুভব করা বা অসহায় লাগা।
  5. দৃষ্টিতে অস্পষ্টতা: মস্তিষ্কে রক্ত সঠিকভাবে পৌঁছাতে না পারলে দেখা দিতে পারে।

প্রতিকার:

থেতলিয়ে যাওয়া কমাতে কিছু সাধারণ প্রতিকার:

  1. বিশ্রাম এবং পর্যাপ্ত ঘুম: শরীরের পেশী শক্তিশালী রাখতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং ঘুম নেওয়া প্রয়োজন।
  2. পানি এবং খাদ্য পরিপূরক: ডিহাইড্রেশন বা পুষ্টির অভাবে থেতলিয়ে যাওয়া হতে পারে, তাই সঠিক খাবার এবং পানি খাওয়া জরুরি।
  3. ব্যায়াম এবং স্ট্রেচিং: নিয়মিত শরীরচর্চা, বিশেষত পেশী শক্তিশালী করার ব্যায়াম করা উচিত।
  4. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: হঠাৎ দাঁড়িয়ে যাওয়ার কারণে যদি রক্তচাপ কমে যায়, তবে ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ানো উচিত।
  5. ভিটামিন এবং পুষ্টি: পুষ্টির অভাব হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ও খনিজের পরিপূরক গ্রহণ করা যেতে পারে।
  6. ডাক্তারের পরামর্শ: যদি থেতলিয়ে যাওয়া নিয়মিত বা গুরুতর সমস্যা হয়ে থাকে, তবে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। বিশেষ করে, যদি স্নায়ু বা মস্তিষ্কের কোনো সমস্যা সন্দেহ হয়, তাহলে শারীরিক পরীক্ষা বা স্ক্যান করা প্রয়োজন।

থেতলিয়ে যাওয়া যদি কোনো গুরুতর সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়, তবে তা দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত, যাতে সময়মতো প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নেওয়া যায়।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *