ডেঙ্গু জ্বর একটি ভাইরাল সংক্রমণ, যা সাধারণত এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এটি বেশিরভাগ সময় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে দেখা যায়, কিন্তু এখন পৃথিবীর অনেক অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।
ডেঙ্গু জ্বরের কারণ:
ডেঙ্গু জ্বরের কারণ হলো ডেঙ্গু ভাইরাস, যা সাধারণত এডিস মশা (বিশেষত, এডিস এজিপ্টি এবং এডিস আলবোপিক্টাস) দ্বারা ছড়িয়ে পড়ে। যখন এই মশা কোনো আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত খায়, তখন সে ভাইরাসটি অন্য মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ:
ডেঙ্গু জ্বরের কিছু সাধারণ লক্ষণ হলো:
- উচ্চ তাপমাত্রা (৩৯-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস)
- শরীরে তীব্র ব্যথা (বিশেষত হাড়ে)
- মাথাব্যথা
- চোখের পিছনে ব্যথা
- অস্থিরতা ও ক্লান্তি
- চর্মে র্যাশ (বিশেষত ৩-৪ দিন পর)
- ঘন ঘন বমি বা বমি ভাব
- হৃদস্পন্দন দ্রুত হওয়া
- ডিহাইড্রেশন (শরীরে পানির অভাব)
ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিকার:
বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বরের কোনো নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা নেই। তবে চিকিৎসা হিসাবে:
- পানির সঠিক পরিমাণে গ্রহণ: শরীরের পানির ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য প্রচুর পানি পান করতে হবে।
- প্যারাসিটামল: জ্বর ও ব্যথা কমানোর জন্য প্যারাসিটামল ব্যবহার করা যেতে পারে।
- বিশ্রাম: শরীরকে সম্পূর্ণ বিশ্রাম দিতে হবে।
- মশার কামড় থেকে বাঁচা: মশা প্রতিরোধের জন্য মশারি, মশার repellant ব্যবহার করতে হবে এবং শরীরের খোলামেলা অংশে মশার তেল লাগানো উচিত।
- রক্তের প্লেটলেটের মাত্রা পর্যবেক্ষণ: রক্তে প্লেটলেটের মাত্রা কমে গেলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হতে পারে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধ:
- মশার প্রজননস্থল ধ্বংস: বাড়ির আশেপাশে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করে মশার প্রজননস্থল নির্মূল করতে হবে।
- মশারি ব্যবহার: রাতে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা উচিত।
- মশার তেল বা স্প্রে ব্যবহার: মশা প্রতিরোধী তেল বা স্প্রে ব্যবহার করা।
ডেঙ্গু থেকে বাঁচার জন্য সঠিক সতর্কতা ও ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।