গ্যাস্ট্রিক একটি প্রচলিত স্বাস্থ্য সমস্যা যা পেটের ওপর প্রভাব ফেলে। এটি সাধারণত পেটের এসিডের অতিরিক্ত উৎপাদন, পেটের দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত বা গ্যাস্ট্রিক আলসার ইত্যাদির কারণে হতে পারে।
কারণ:
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: অতিরিক্ত তেল, মশলাদার খাবার, তাড়াহুড়া করে খাওয়া ইত্যাদি।
- অতিরিক্ত এসিড উৎপাদন: পেটের মধ্যে এসিডের অতিরিক্ত উৎপাদন গ্যাস্ট্রিকের কারণ হতে পারে।
- চিন্তা বা স্ট্রেস: মানসিক চাপও গ্যাস্ট্রিকের জন্য দায়ী হতে পারে।
- অ্যান্টি–অ্যাসিড ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার: কিছু ওষুধ পেটের এসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারে।
- অতিরিক্ত অ্যালকোহল বা তামাকের ব্যবহার: এইগুলো পেটের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
- হরমোনাল পরিবর্তন: যেমন গর্ভাবস্থা বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা।
লক্ষণ:
- পেটে গ্যাস (বাতাস) জমা হওয়া।
- অতিরিক্ত অম্বল বা খালি পেটে জ্বালা।
- পেট ফোলা বা অস্বস্তি।
- ভাত বা খাবার হজমে অসুবিধা।
- মাথা ঘোরা বা ক্লান্তি।
- পেটে ব্যথা বা তীক্ষ্ণ যন্ত্রণা।
- বমি বা অম্বল।
প্রতিকার:
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: পেটের সমস্যা এড়াতে ভাজা, তেলতেল এবং মশলাদার খাবার কম খান।
- অনেক জল পান করুন: পানি পেটে এসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- পেট ভরে না খাওয়া: একসাথে বেশি খাবার খাওয়া পরিহার করুন।
- স্ট্রেস কমানো: মানসিক চাপ কমানোর জন্য যোগব্যায়াম বা ধ্যানে মন দিন।
- অ্যান্টাসিড ব্যবহার: কিছু ওষুধ, যেমন অ্যান্টাসিড, পেটের অতিরিক্ত এসিড কমাতে সাহায্য করে।
- হালকা খাবার খান: নিয়মিত ছোট পরিমাণে খাবার খাওয়া বেশি উপকারী।
যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেশি সময় ধরে থাকে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।