Best Homeo Doctor

অর্বুদ কি,কারন,লক্ষন,প্রতিকার

অর্বুদ (এবং ক্যান্সার) হলো শরীরের কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বা বৃদ্ধি হওয়া, যা নির্দিষ্ট স্থানে জমা হতে থাকে এবং চারপাশের স্বাভাবিক কোষগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এটি নানা ধরনের হতে পারে এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে প্রভাবিত করতে পারে, যেমন স্তন, ফুসফুস, যকৃত, পেট, প্রস্টেট ইত্যাদি।

অর্বুদ (ক্যান্সার) এর কারণ:

ক্যান্সারের সঠিক কারণ স্পষ্ট নয়, তবে কিছু সাধারণ কারণ রয়েছে যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে:

  1. জেনেটিক কারণ: কিছু মানুষ জন্মগতভাবে ক্যান্সারের প্রতি প্রবণ হতে পারে।
  2. ধূমপান: ধূমপান ফুসফুসের ক্যান্সারসহ অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
  3. অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন: বেশি অ্যালকোহল সেবন লিভার ক্যান্সারসহ অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
  4. অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: অতিরিক্ত চর্বি, প্রসেসড খাদ্য এবং কম আঁশযুক্ত খাদ্য ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
  5. রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শ: বেনজিন, অ্যাসবেস্টস, বা রেডিয়েশন Exposure ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
  6. ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ: কিছু ভাইরাস, যেমন হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (HPV) বা হেপাটাইটিস ভাইরাস, ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

অর্বুদ (ক্যান্সার) এর লক্ষণ:

ক্যান্সারের লক্ষণ রোগের ধরণ ও স্থানের উপর নির্ভর করে। তবে কিছু সাধারণ লক্ষণ হতে পারে:

  1. অস্বাভাবিক গুটি বা গাঁট: শরীরের কোথাও গুটি বা গাঁট দেখা দিলে।
  2. অস্বাভাবিক রক্তপাত: মল-মূত্রের মাধ্যমে রক্তপাত বা শ্বাসপ্রশ্বাসের সাথে রক্ত আসা।
  3. অপরিষ্কার বা দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজ: শরীরে বা মুখে কোন অবাঞ্ছিত পুঁজ।
  4. অস্বাভাবিক ওজন কমে যাওয়া: কোন কারণ ছাড়াই শরীরের ওজন কমে যাওয়া।
  5. দীর্ঘ সময় ধরে কাশি বা গলাব্যথা: কোন কারণে দীর্ঘকাল ধরে কাশি, গলাব্যথা বা শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা।
  6. বদলানো ত্বক: ত্বকে অস্বাভাবিক রং বা গঠনের পরিবর্তন দেখা।

অর্বুদ (ক্যান্সার) এর প্রতিকার:

ক্যান্সারের প্রতিকার বিভিন্নভাবে করা যায়, তবে এটি নির্ভর করে ক্যান্সারের ধরণ, অবস্থান, এবং স্টেজের উপর। কিছু সাধারণ প্রতিকার:

  1. চিকিৎসা (তথা কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, সার্জারি): ক্যান্সারের প্রকার অনুসারে চিকিৎসা করা হয়, যেমন কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি।
  2. অপারেশন (সার্জারি): ক্যান্সার আক্রান্ত অংশ বা টিউমার অপসারণ করা হয়।
  3. হরমোন থেরাপি: কিছু ক্যান্সার হরমোনের দ্বারা বৃদ্ধি পায়, সেক্ষেত্রে হরমোন থেরাপি ব্যবহার করা হয়।
  4. প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা: ক্যান্সারের কিছু ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান এবং অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
  5. প্রাথমিক পর্যায়ে চেকআপ: ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়গুলোর চিহ্নিতকরণ দ্রুত চিকিৎসার সম্ভাবনা বাড়ায়।

এছাড়া, কিছু প্রাকৃতিক প্রতিকার ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে, তবে এগুলি শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শের সঙ্গে গ্রহণ করা উচিত।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *